(পূর্বে প্রকাশিতের পর) অলক্ষ্যে দরজার ওপাশে চোখ মুছে পুত্রবধু রূপাও। মুহূর্তে এক আবেগঘন ভারি পরিবেশের সৃষ্টি হয়। কান্না বিজড়িত কন্ঠে আঁখি বলে, ‘মাগো, তুমি কেঁদো না। ইনশালাহ, আমাদের তূর্য ভাইয়া বারবার ফিরে আসবে। বাংলা বর্ণমালার সাথে মিশে গেছে ভাইয়া। বাবাও নিশ্চয়...
:’এক্সকিউজ মি! এটা মৌ’দের বাসা না?’ :’জ্বী জ্বী বাড়িওয়ালীর মেয়ের কথা বলছেন তো?’:’হুমম’:’এইতো একটু ডানে গিয়ে সোজা সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় বাঁ-দিকের রুমে চলে যান।’:’থ্যাঙ্কয়ু...!’পরিচয়ের শুরুটা এভাবেই। একটু বাঁকা মিষ্টি হাসি দিয়ে সুবাস ছড়িয়ে হনহন করে চলে যায় মেয়েটি। হা করে আমি...
‘কোনো এক ভোরবেলা, রাত্রিশেষে শুভ শুক্রবারে মৃত্যুর ফেরেস্তা এসে যদি দেয় যাওয়ার তাকিদ; অপ্রস্তুত এলোমেলো এ গৃহের আলো অন্ধকারে ভালোমন্দ যা ঘটুক মেনে নেবো এ আমার ঈদ।গ্ধ মৃত্যু এক অবধারিত সত্য, অনিবার্য বাস্তব। জগতের কোনো প্রাণী, কোনো কিছুই মৃত্যুহীন অবিনশ্বর...
ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে অমর একুশে ভাষা দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। মাঘের হিমেল সকালে কুয়াশা ভেদ করে রুটিনবাঁধা রক্তিম সূর্যটাও আজ অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি প্রখর ও তেজোদীপ্ত। কুয়াশা ঘেরা আঁধার পাশ কাটিয়ে দীপ্তি ছড়ানো লাল সূর্যিটা যেনো...
অলস দুপুর। খানিকটা ভুতুড়ে-অদ্ভুতুড়ে। মানুষ ও পক্ষীর আনাগোনা খুব একটা চোখে পড়ার মতো নয়। দিনের অন্যসময়ের তুলনায় এই সময়ে প্রকৃতিও স্বাভাবিকভাবে কিছুটা বিষন্ন ও ফাঁকা থাকে। ঝিমিয়ে পড়া প্রকৃতি দেখে চন্দনা বরাবরি অভ্যস্ত। কিন্তু তবুও আজ কোথাও যেন একটু অস্বস্তি-অস্বস্তি...
চিনু কবিরাজের উঠোনের দেউড়িতে দাঁড়িয়ে একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে সুুুন্দরী নীলিমা। ওর সবি আছে, আবার কিছুই যেন নেই। বিয়ের প্রায় পাঁচ বছর পার হতে চলল, অথচ আজও একটা ফুটফুটে বাচ্চাকাচ্চা বিয়োতে পারেনি। এরচে দুঃখ-কষ্ট আর কী-বা হতে পারে? পাড়াপড়শি ও...
(পূর্বে প্রকাশিতের পর) পেছন থেকে চৌধুরী সাহেব তবুও বিরক্তিহীন কন্ঠে চেঁচিয়ে ডাকে, ‘ও ভাই..ও ভাই একটু দাঁড়ান, প্লীজ আমার অঙ্কটা একটু কষে দিন।’ মানুষজন পড়িমরি করে ত্রস্ত পায়ে পালিয়ে যেতে পারলেই বাঁচে।অঙ্কটা মিলে যাওয়ারই কথা ছিল। কিন্তু মনে হচ্ছে এই জন্মেও...
ধনুকের মতো জনমানবহীন রাস্তাটা কিছু দূর এগিয়ে গিয়ে আবার মোচড়ানো দিয়ে সোজা চলে গেছে দৃষ্টিসীমানারও অনেকদূর পর্যন্ত। ধু-ধু মাঠ পেরিয়ে চলে গেছে তেপান্তরের দিকে। চারিদিকে মাঠ আর সবুজের প্রাচুর্য। একধারে নদী বয়ে গেছে কূলুকূলু নাদে, অন্যধারে পড়ে রয়েছে ধু-ধু প্রান্তর।...
এতোদিনের ঠান্ডায় শীতল হয়ে যাওয়া ভালোবাসাটা এবার বোধহয় আরো খানিকটা জমে ওঠবে। সিনড্রোম সেরকমই মনে হচ্ছে। বহু বছর পর সেঁজুতি ফিরে এসেছে। হ্যাঁ, আমার হারিয়ে যাওয়া সেঁজুতির কথাই বলছিলাম...। বহু ঘাটপাট পেরিয়ে আবার তাকে খুঁজে পাব ভাবিনি। যদিও আমার স্বভাব...